দেশে আরও ১০ জনের ওমিক্রন শনাক্ত
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জার (জিআইএসএআইডি) এ তথ্য জানিয়েছে।জিআইএসএআইডি জানায়, গত ১৪ ডিসেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারির মধ্যে রোগীদের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এর মধ্যে গত ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাত দিনে পাঁচ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।তবে যারা ওমিক্রনে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছেন, তাদের বিদেশ ভ্রমণের কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, গত ১১ ডিসেম্বর দেশে প্রথম দুজনের শরীরে ওমিক্রন শনাক্তের কথা জানা যায়। তারা জিম্বাবুয়ে ফেরত বাংলাদেশি দুই নারী ক্রিকেটার ছিলেন। এরপর গত ২৭ ডিসেম্বর একজন, ২৮ ডিসেম্বর চারজন এবং ৩১ ডিসেম্বর তিনজনের শরীরে ওমিক্রন শনাক্তের তথ্য আসে জিআইএসএআইডির ওয়েবসাইটে।সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৯৭ জনে। বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী, এসময়ে নতুন করে আরও ১ হাজার ১৪০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এতে করে দেশে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৮৯ হাজার ৯৪৭ জনে।গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয় ২৩ হাজার ৪৩৫ জনের। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৯৬ জন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৫০ হাজার ৩৬৪ জন।
হাবিব/আওয়াজবিডি/ইউএস
কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সে থাকা গম রপ্তানি করবে ভারত
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে মঙ্গলবার এ কথা বলা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, যেসব গম কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে পরীক্ষার জন্য এবং ১৩ই মের আগে বা ওইদিন তাদের কাছে নিবন্ধিত হয়েছে, সেইসব গমের শিপমেন্ট অনুমোদনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। মিশর সরকারের এক অনুরোধের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার মিশরে গমের চালান পাঠাতে অনুমোদন দিয়েছে। এই চালানের গম এরই মধ্যে কান্দলা বন্দরে লোড করা হচ্ছে।
আকস্মিক গত রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। এর ফলে বিভিন্ন বন্দরের বাইরে গমভর্তি হাজার হাজার ট্রাক অবস্থান করছে। দেশের ভিতরে দাম বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত ১৩ই মে সরকার গম রপ্তানি নিষিদ্ধ করে। এ বিষয়ে একটি নোটিফিকেশন জারি করেছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি)
এতে বলা হয়েছে, দেশে সার্বিক খাদ্য নিরাপত্তা রক্ষা করতে, প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রয়োজনে সাপোর্ট দিতে এবং অন্য ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই নোটিফিকেশনে আরও বলা হয়েছে, বেসরকারি ব্যবসায়ীরা ‘লেটার অব ক্রেডিটের’ মাধ্যমে আগেভাগে যেসব প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত করেছেন, তাদের ক্ষেত্রে এইসব বিধিনিষেধ প্রযোজ্য হবে না। অন্য দেশের অনুরোধের প্রেক্ষিতেও সরকার রপ্তানি অনুমোদন দেবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, নিষেধাজ্ঞার নির্দেশ তিনটি প্রধান কারণে দেয়া হয়েছে। তা হলো, ভারতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলা করা, অন্য দেশগুলো যারা খাদ্য ঘাটতি মোকাবিলা করছে তাদেরকে সহায়তা করা এবং ভারতের একটি নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারীর মর্যাদা রক্ষা করা।
অনি/আওয়াজবিডি/ইউএস