সিনেমাতে হিরো বাস্তবে ব্যর্থ, হাসির খোরাক ভারতীয় সেনাবাহিনী!
অনলাইন রিপোর্ট
বলিউডের অ্যাকশনধর্মী সিনেমায় প্রায়শই দেখা যায় ভারতের সেনাবাহিনী কিংবা গোয়েন্দা সংস্থার দুর্ধর্ষ অভিযান—জঙ্গি ঘাঁটিতে একক অভিযানে শত্রু দমন করে ফেলছেন হিরোরা। এসব সিনেমায় ভারতীয় সেনাবাহিনীকে প্রায় অজেয়, সুপারহিরো রূপে দেখানো হয়। তবে বাস্তবতার চিত্র ভিন্ন। সাম্প্রতিক কাশ্মীরের পহেলগামে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা সেই ভিন্নতাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে।
পহেলগামের এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৬ জন নিরীহ পর্যটক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ভারতীয় নাগরিকরা। অনেকেই বলছেন, সিনেমায় যেসব চিত্র তুলে ধরা হয়, বাস্তবে তার সঙ্গে ভারতের সামরিক ও গোয়েন্দা সক্ষমতার বড় ফারাক রয়ে গেছে।
গোয়েন্দা তথ্য ছিল, ব্যবস্থা ছিল না
বিবিসি'র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছে আগে থেকেই তথ্য ছিল যে পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে। কিন্তু যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, হামলা শুরু হওয়ার প্রায় ২০ মিনিট পর নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে, তখন হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
এই ব্যর্থতাকে ঘিরেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে সামাজিক মাধ্যমে। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন—প্রস্তুতি থাকলে কি এত প্রাণহানি এড়ানো যেত না?
ইতিহাসে সফলতা, বর্তমানের ব্যর্থতা
ভারতীয় সেনাবাহিনী ইতিহাসে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অভিযান সফলভাবে পরিচালনা করেছে। তাদের সামরিক সক্ষমতা বিশ্বে স্বীকৃত এবং তারা সামরিক শক্তির দিক থেকে বিশ্বের চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। কিন্তু পহেলগামে ঘটে যাওয়া হামলার মতো ঘটনা নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা ও গোয়েন্দা ত্রুটি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।
২০১৯ সালের ঘটনাও উঠে আসছে আলোচনায়
২০১৯ সালে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সময় পাকিস্তানের আকাশসীমায় ঢুকে পড়া ভারতীয় মিগ-২১ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করে পাকিস্তান। পাইলট অভিনন্দন বর্তমান প্যারাসুটে করে নামলেও তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। পরে পাকিস্তান তাকে ভারতের কাছে ফিরিয়ে দেয়। ওই ঘটনাও এখন নতুন করে আলোচনায় এসেছে, যেখানে বলিউডের হিরোদের সঙ্গে বাস্তবের সেনা কর্মকর্তাদের তুলনা টেনে ট্রল করছেন অনেকে।
সমালোচনার মুখে বলিউড-বাস্তবতার ফারাক
বলিউডের সিনেমা ভারতীয় সামরিক বাহিনীর এক নিখুঁত, অজেয় চিত্র তুলে ধরলেও পহেলগামের বাস্তবতা প্রমাণ করেছে, শুধুমাত্র সিনেমার চিত্র দিয়ে আসল পরিস্থিতি ঢেকে রাখা যায় না। মানুষের জীবন রক্ষার জন্য বাস্তবিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও কার্যকর গোয়েন্দা তৎপরতাই সবচেয়ে জরুরি।
undefined/news/asia/1f02248d-b7b5-6c90-a524-eedd3941fe20
৩৭-০৫ ৭৩ স্ট্রীট, জ্যাকসন হাইটস, নিউইয়র্ক-১১৩৭২, ফোন: ৬৪৬৩০৯৬৬৬৫, সার্কুলেশন ও বিজ্ঞাপন ইমেইল: [email protected]