নাচোলের ইউএনও মো. কামাল হোসেনের প্রকৃত বাবা-মা নিশ্চিতে ডিএনএ টেস্টের সিদ্ধান্ত দুদকের

মুক্তিযোদ্ধা কোটায় জালিয়াতি করে ৩৫ তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি নিয়েছেন বলে যে অভিযোগ উঠেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে, সেটার তদন্তে তার প্রকৃত বাবা - মা নিশ্চিত করতে ডিএনএ টেস্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
আজ দুদক প্রধান কার্যালয়ে এক নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন দুদকের সম্মিলিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. মনজুরুল ইসলাম মিন্টু।
অভিযুক্ত কামাল হোসেন এর আগে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ইউএনও এবং মাগুরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সিনিয়র সহকারী কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এজাহারে বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও চাকরি লাভসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগের উদ্দেশ্যে মো. কামাল হোসেন তার জন্মদাতা বাবা - মা মো. আবুল কাশেম এবং হাবীয়া খাতুনের পরিবর্তে আপন চাচা মুক্তিযোদ্ধা মো. আহসান হাবীব ও চাচী সানোয়ারা খাতুনকে বাবা - মা হিসেবে চিত্রিত করে জালিয়াতি করেছেন।
এই কৌশলের মাধ্যমে তিনি ৩৫ তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের কোটায় প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি লাভ করেন।
মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে দুদক।
তবে এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন ও অসত্য বলে দাবি করেছেন মোঃ কামাল হোসেন। স্থানীয় কিছু মানুষ শত্রুতা করে তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেছে বলে তিনি দাবি করেছেন।
November 2025
৩৭-০৫ ৭৩ স্ট্রীট, জ্যাকসন হাইটস, নিউইয়র্ক-১১৩৭২, ফোন: ৬৪৬৩০৯৬৬৬৫, সার্কুলেশন ও বিজ্ঞাপন ইমেইল: [email protected]

